বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় ভাগিনাদের সাথে একদিন ও মাছ কেনার গল্প

প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার বগুড়ায় বসে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। মাছের জন্য বিখ্যাত এই মেলা আমাদের এলাকার মানুষের জন্য এক বিশাল উৎসব। ২০২১ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারির এক বিকেলে আমি আমার দুই প্রিয় ভাগিনা, আরিফুল আর শিলুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম সেই মেলার উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য ছিল মেলা ঘুরে দেখা আর বড় একটা মাছ কিনে বাড়ি ফেরা।

বিকেল ৩:৪৭ মিনিটে আমরা গ্রামের বাড়ি, বাঁশহাটা থেকে মেলার দিকে রওনা দিলাম। মেঠো পথের দু'পাশের সবুজ আর শীতের বিকেলের মিষ্টি রোদ আমাদের যাত্রাকে আরও আনন্দময় করে তুলেছিল। ভাগিনাদের চোখেমুখে ছিল স্পষ্ট উত্তেজনা। মেলায় পৌঁছেই আমরা বিশাল জনসমাগমের মধ্যে হারিয়ে গেলাম। চারদিকে নাগরদোলা, মিষ্টির দোকান আর হাজারো মানুষের কোলাহল—সব মিলিয়ে এক গ্রামীণ উৎসবের নিখুঁত চিত্র।

তবে এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো মাছ। আমরা সোজা চলে গেলাম মাছের বাজার অংশে। সেখানে থরে থরে সাজানো বিশাল আকারের বাঘাইড়, রুই, কাতলা, চিতল মাছ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড়! বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের দর কষাকষিতে পুরো এলাকা সরগরম। আরিফুল আর শিলু এত বড় মাছ দেখে, তারা অবাক হয়ে দেখছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি আর দরদামের পর আমরা বেশ বড় একটি মাছ কিনলাম।

পোড়াদহ মেলার পথে মেলার পথে আমাদের যাত্রা

গ্রামীণ মেঠো পথ

পোড়াদহ মেলায় মাছের সমারোহ

মাছ দেখছে উৎসুক জনতা

কেনা-বেচার মুহূর্ত

বাঘাইড় মাছ

মাছ ওজন করা হচ্ছে

কেনা শেষে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরা

বাড়িতে আনা মাছ

মাছ কাটার প্রস্তুতি

মাছের টুকরো

মাছের পেটি

রান্নার জন্য প্রস্তুত মাছ

মাছ ভাজা হচ্ছে

মাছের কালিয়া

রান্না করা মাছ

সুস্বাদু মাছের তরকারি

গরম ভাতের সাথে মাছ

মাছ কিনে সন্ধ্যা ৬:২৬ নাগাদ আমরা বাড়ির পথে রওনা দিলাম। বড় একটি মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দ ছিল অন্যরকম। বাড়িতে মাছটি নিয়ে আসার পর যেন আরেক উৎসব শুরু হয়ে গেল। সবাই মিলে মাছ কাটা হলো এবং রাতে সেই মাছ রান্না করা হলো।

দিনটি ছিল সত্যিই অসাধারণ। ভাগিনাদের সাথে মেলায় ঘোরার আনন্দ এবং একটি বড় মাছ কেনার স্মৃতি আমার ডায়েরির পাতায় অমলিন হয়ে থাকবে। গ্রামের এই ছোট ছোট উৎসব আর পারিবারিক মুহূর্তগুলোই জীবনকে সুন্দর করে তোলে।


দিনলিপির তথ্য:

  • তারিখ ও সময়: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১, বুধবার, দুপুর ৩:৪৭ (GMT+06:00)
  • স্থান: গ্রামের বাড়ি, বাঁশহাটা, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
  • অনুভূতি: আনন্দ ও তৃপ্তি।

ছবি তোলার বিবরণ:

  • ক্যামেরা: Samsung SM-M315F
  • অ্যাপারচার: ƒ/1.8
  • শাটার স্পীড: 1/693
  • আইএসও: 40
  • ফোকাল লেংথ: 5.23mm

লেখক: মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কোডিং ও ডিজাইনের প্রতি অনুরাগী একজন ব্যক্তি।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url