স্মৃতির পাতা থেকে: সহকর্মীদের সাথে নন্দন পার্কের আনন্দময় মুহূর্ত
কাজের ব্যস্ততার ভিড়ে আমাদের জীবন থেকে মাঝে মাঝে ছুটি নেওয়াটা খুব জরুরি। এই ছুটিগুলো আমাদের নতুন করে শক্তি যোগায় এবং সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করে তোলে। এমনই এক স্মরণীয় দিনের কথা আজ ডায়েরির পাতায় লিখতে বসেছি। দিনটি ছিল ২০২১ সালের ৮ই জানুয়ারি, রোজ শুক্রবার। অফিসের দৈনন্দিন রুটিন থেকে বেরিয়ে আমরা কয়েকজন সহকর্মী মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র নন্দন পার্কে।
এই আনন্দময় ভ্রমণে আমার সাথে ছিল আমার প্রিয় সহকর্মী আল-আমিন, শুভ, রাজব আলী, নাজমুল হোসেন কিরণ, এবং সুজন। একসাথে কাজ করতে করতে আমরা কেবল সহকর্মীই নই, হয়ে উঠেছি একে অপরের ভালো বন্ধু। তাই আমাদের এই ভ্রমণটি ছিল শুধুই ঘোরাঘুরি নয়, বরং বন্ধুত্ব উদযাপনের একটি দারুণ সুযোগ।
নন্দন পার্কের সবুজ আঙ্গিনায় একটি দিন
সকাল থেকেই আমাদের মধ্যে ছিল দারুণ উত্তেজনা। সারাদিনের জন্য পরিকল্পনা সাজিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি নন্দন পার্কের উদ্দেশ্যে। পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। সবুজের সমারোহ, সুন্দর লেক আর নানা ধরনের রাইড আমাদের স্বাগত জানাচ্ছিল। আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন রাইডে চড়েছি, একে অপরের সাথে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি এবং ক্যামেরাবন্দী করেছি অসংখ্য সুন্দর মুহূর্ত।
অফিসের চার দেওয়ালের বাইরে সহকর্মীদের সাথে কাটানো এই সময়টা ছিল সত্যিই অসাধারণ। কাজের চাপের বাইরে একে অপরকে নতুনভাবে চেনার এবং বোঝার সুযোগ হয়েছিল আমাদের। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যখন আমরা বাড়ির পথে রওনা দিলাম, তখন সবার মুখে ছিল একরাশ আনন্দের ছাপ আর মনে ছিল সুন্দর কিছু স্মৃতি।
ক্যামেরাবন্দী কিছু আনন্দময় মুহূর্ত
আমাদের সেই স্মরণীয় দিনের কিছু ছবি নিচে দেওয়া হলো, যা দেখলে আজও সেই আনন্দের অনুভূতিগুলো ফিরে আসে।
এই দিনটি কেবল একটি ভ্রমণ ছিল না, ছিল আমাদের অফিসের একঘেয়ে জীবন থেকে মুক্তির একটি উপায়। এমন দিনগুলো আমাদের স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।
লেখক সম্পর্কে
নাম: মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম
পরিচয়: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কোডিং ও ডিজাইনের প্রতি অনুরাগী একজন ব্যক্তি।


















































































