আমি বিভিন্ন মানুষের ছবি সংগ্রহ করি এবং স্মৃতি হিসেবে রাখি যেখানে আমার নিজের কোন ছবি নেই - আনোয়ারুল ডায়েরি
ভ্রমণ মানেই কি শুধু নিজের ছবি তোলা? নাকি প্রকৃতির মাঝে মিশে গিয়ে তার প্রতিটি মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করা? আমার কাছে ভ্রমণ হলো দ্বিতীয়টি। আমি যখনই কোথাও ঘুরতে যাই, আমার ক্যামেরার লেন্স খোঁজে ফেরে চারপাশের মানুষ, তাদের জীবনযাত্রা আর প্রকৃতির নিবিড় সৌন্দর্যকে। নিজের ছবির চাইতে সেই মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমে বন্দী করতে আমার বেশি ভালো লাগে। ২০২০ সালের মার্চের এমনই এক দিনে আমি গিয়েছিলাম সিলেটের জাফলং-এ। সেই দিনের গল্প আর ছবিগুলোই আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
জাফলং-এর সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে স্বচ্ছ জলের পিয়াইন নদী, আর তার বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা রঙের পাথর—সব মিলিয়ে এক মায়াবী পরিবেশ। সেদিন আকাশে ছিল হালকা মেঘের আনাগোনা। আমি নদীর পাড়ে বসে দেখছিলাম মানুষের ব্যস্ততা। কেউ পাথর তুলছে, কেউ নৌকা চালাচ্ছে, আবার পর্যটকরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করছে। আমি তাদের অলক্ষ্যেই একের পর এক ছবি তুলতে লাগলাম। প্রতিটি ছবিতে যেন একেকটা গল্প লুকিয়ে ছিল—কঠোর পরিশ্রমের গল্প, নির্মল আনন্দের গল্প, প্রকৃতির সাথে মানুষের মিশে যাওয়ার গল্প।
আমার মনে হয়, এই ছবিগুলোই আমার আসল স্মৃতি। দশ বছর পরেও যখন এই ছবিগুলো দেখব, তখন হয়তো নিজের চেহারাটা দেখতে পাব না, কিন্তু জাফলং-এর সেই জীবন্ত মুহূর্তগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠবে। সেই মাঝির মুখ, পাথর কুড়ানো শ্রমিকের ক্লান্তি, বাচ্চার হাসি—এগুলোই তো ভ্রমণের সার্থকতা।
জাফলং-এর মুহূর্তগুলো আমার ক্যামেরায়
ক্যামেরা তথ্য (Camera Info)
ছবি ১:
ডিভাইস: vivo Y19
অ্যাপারচার: ƒ/2
শাটার স্পীড: 1/2793
ফোকাল লেংথ: 3.82mm
ISO: 100
ফাইলের নাম: IMG_20200313_123051.jpg
রেজোলিউশন: 15.9MP (3456 × 4608)
ছবি ২:
ডিভাইস: vivo Y19
অ্যাপারচার: ƒ/2
শাটার স্পীড: 1/1730
ফোকাল লেংথ: 3.82mm
ISO: 101
ফাইলের নাম: IMG_20200313_123027.jpg
রেজোলিউশন: 15.9MP (4608 × 3456)







































