স্মৃতির পাতা থেকে: অফিসের কর্মব্যস্ত দুপুরে এক মুহূর্ত অবসর - আনোয়ারুল ডায়েরী
স্মৃতির পাতা থেকে: অফিসের কর্মব্যস্ত দুপুরে এক মুহূর্ত অবসর
সময় কত দ্রুত চলে যায়! আজ পুরনো ছবির অ্যালবাম ঘাঁটতে গিয়ে এই ছবিটি চোখে পড়লো। তারিখটা ছিল ৯ই অক্টোবর ২০১৯, বুধবার। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১টা বেজে ২ মিনিট। সকাল থেকে একটানা কাজের পর সবেমাত্র দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি পেয়েছি। সেই কর্মব্যস্ত মুহূর্তের মাঝে একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ।
সেদিনের কথা: যখন ক্লান্তি আর স্বস্তি মিলেমিশে একাকার
আমার বেশ মনে আছে, দিনটা ছিল বেশ চাপেরও। একের পর এক কাজ, মিটিং আর ডেডলাইনের তাড়া। এর মাঝেই দুপুরের বিরতিটা যেন এক পশলা বৃষ্টির মতো। নিজের ডেস্কে বসেই ভাবছিলাম কত কী! চারপাশের সহকর্মীদের হালকা গুঞ্জন, কম্পিউটারের কি-বোর্ডে খটখট শব্দ আর বাইরে কর্মচঞ্চল পরিবেশ - সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতি।
একটি ছবি, হাজারো স্মৃতি
হঠাৎ মনে হলো, এই মুহূর্তটা ধরে রাখি। যেই ভাবা সেই কাজ! ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরাটা অন করে তুলে ফেললাম এই ছবিটি। ছবিতে হয়তো কিছুটা ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল কাজ শেষের সাময়িক স্বস্তি। এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তো আমাদের কর্মজীবনকে বর্ণময় করে তোলে। আজ প্রায় অনেকগুলো বছর পর এই ছবিটা দেখে সেই দিনটার কথা মনে পড়ে গেল। কত স্মৃতি, কত কথা ভিড় করে আসছে। সময় বদলেছে, পরিস্থিতি বদলেছে, কিন্তু কিছু স্মৃতি অমলিন হয়ে ডায়েরির পাতায় থেকে যায়। এই ছবিটা আমার কাছে তেমনই এক স্মৃতি, যা আমাকে আমার ফেলে আসা ব্যস্ত কিন্তু সুন্দর দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্ন ১: এই ছবিটি কখন এবং কোথায় তোলা হয়েছিল?
উত্তর: ছবিটি ৯ই অক্টোবর ২০১৯, দুপুর ১:০২ মিনিটে লেখকের অফিসে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় তোলা হয়েছিল।
প্রশ্ন ২: এই ব্লগ পোস্টটির মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো পুরনো একটি ছবির মাধ্যমে লেখকের কর্মজীবনের একটি ব্যস্ত দুপুরের স্মৃতিচারণ করা এবং জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরা।