ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় এক স্মরণীয় দিন — পরিবার নিয়ে ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ভ্রমণ ডায়েরি
ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় এক স্মরণীয় দিন (২৫ নভেম্বর ২০১৬)
লেখক: মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম · শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
নভেম্বরের শেষ ভাগে আমরা—আমি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, আমার ছোট ভাই মোঃ নাজিরুল ইসলাম, মেয়ে মোঃ মীম আক্তার এবং আমার শাশুড়ি—পরিবারসহ ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাই। মিরপুরের সবুজ গাছপালা এবং হাঁটার পথ আমাদেরকে এক শান্ত ও আনন্দময় অনুভূতি দেয়। চারপাশে দর্শনার্থীদের ভিড়, বিক্রেতাদের ডাক এবং দূর থেকে আসা পাখির কূজন—সব মিলিয়ে দিনটি শুরু হয়েছিল দারুণভাবে।
আমার মেয়ের জন্ম ১৭ নভেম্বর ২০১৩ সালে। ২৫ নভেম্বর ২০১৬ সালে, এত ছোটবেলায়, সে প্রাণীদের দেখেই খুব খুশি হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছি প্রায় সব প্রাণীর ঘর ঘুরে দেখার। চিড়িয়াখানার এলাকা অনেক বড় হওয়ায় মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটাটাই কিছুটা কষ্টকর ছিল। তবে প্রাণীদের প্রতি তার আগ্রহ ও খুশি সব অসুবিধা ভুলিয়ে দিয়েছিল।
চিড়িয়াখানার সংক্ষিপ্ত তথ্য
- অবস্থান: মিরপুর, ঢাকা (বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা)
- প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৪ সালে
- প্রাণীর বৈচিত্র্য: ১৮০+ প্রজাতির ২,০০০-এর বেশি প্রাণী
- জনপ্রিয় জোন: বাঘ–সিংহ এলাকা, হাতির প্রদর্শনী, পাখির ডোম, সরীসৃপ ঘর, অ্যাকোয়ারিয়াম
- ভিড় বেশি: সাধারণত শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন
সেদিন আমরা যা দেখেছি
- বাঘের খাঁচার সামনে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ—মেয়ের প্রিয় অংশ।
- হাতির শান্ত পদচারণা এবং খাওয়ানোর মুহূর্ত।
- সাপ, কচ্ছপ, কুমির, হাতি, গণ্ডার এবং আরও অনেক প্রাণী।
- পার্কের ভিতরের হাঁটার পথে পরিবারসহ ছবি তোলা ও বিশ্রাম।
ভ্রমণ টিপস
- সকালে ভ্রমণ শুরু করলে ভিড় কম থাকে এবং প্রাণী সক্রিয় দেখা যায়।
- প্রধান গেট থেকে মানচিত্র দেখে রুট ঠিক করুন।
- শিশুসঙ্গী হলে পানি, হালকা নাস্তা, ক্যাপ বা ছাতা সঙ্গে রাখুন।
- প্রাণীদের কাছে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন এবং ফ্ল্যাশ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন—আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলুন।

